Borderline Personality Disorder(BPD)

 Borderline Personality Disorder(BPD)

সামান্য বিষয় নিয়ে নাবিলা তার আম্মুর সাথে রাগারাগি করল। এতে তার আম্মুরও মন খারাপ হল। হওয়াটাই স্বাভাবিক এমন এই প্রথম যে তা নয়। যে কথাগুলো অন্যদের কাছে খুব স্বাভাবিক, সে ঐ কথাগুলো নিয়েই প্রতিক্রিয়া করে। অথচ, সে পরবর্তীতে বুঝতে পারে যে রাগ করার মতো কোনো বিষয়ই সেগুলো নয়। মাঝেমাঝেই তার মন হঠাৎ খারাপ হয়ে যায়। নিজেও বুঝতে পারে না কেন তার সাথে এমনটা কেন হয়। নিজেকে তার খুব অচেনা মনে হয়।
নাবিলা লক্ষণগুলো বর্ডারলাইন পার্সোনালিটি ডিসঅর্ডার বা বিপিডি র সাথে মিলে যায়।

Borderline Personality Disorder(BPD)-
এই সমস্যাটি Emotionally Unstable Personality Disorder/Emotional Intensity Disorder নামেও পরিচিত।সাধারনত বিপিডি আক্রান্ত ব্যক্তি তার নিজের পছন্দ-অপছন্দ নিয়ে সন্দিহান থাকে। ঠিক কোন বিষয় গুলো তার ভালো লাগে/খারাপ লাগে কখনোই নির্দিষ্ট করে বলতে পারেনা। পছন্দ-অপছন্দ প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হতে থাকে।অন্যের জন্য খুব স্বাভাবিক বিষয়গুলোও তার কাছে জটিল লাগে। সামান্যতেই অত্যধিক রেগে যায়। খুব বেশি রাগ ব্যক্তির বিভিন্ন সম্পর্কে চিড় ধরায়। হঠাৎই আবেগপ্রবন হয়ে ওঠে। নিজের ওপর দৃঢ় বিশ্বাস রাখতে পারেনা।


   লক্ষণ:       

বিপিডি র লক্ষণগুলো সুনির্দিষ্ট নয়। তবে চিকিৎসার সুবিধার্তে ,এর ৯টি লক্ষণ কে প্রধান ধরে নেওয়া হয়েছে-
🔹️নিঃসঙ্গ হয়ে যাওয়ার ভয়।
🔹️অস্থিতিশীল সম্পর্ক ।
🔹️নিজেকে নিয়ে অস্পষ্ট ধারণা।
🔹️স্বধ্বঙসাত্মক আচরণ।
🔹️নিজের ক্ষতি করা।
🔹️আবেগীয় ভারসাম্যহীনতা।
🔹️শূন্যতা অনুভব করা।
🔹️অতিরিক্ত রাগ।
🔹️অহেতুক সন্দেহপোষণ করা।
এই ৯ টি লক্ষণের অন্তত ৫ টি কারো প্রকাশ পেলে সে বিপিডি তে আক্রান্ত।


🔵কারণ:
🔸️জিনগত-বিপিডি র জন্য সরাসরি কোনো জিনদায়ী নয়। তবে পরিবারে পূর্বে কারো এই রোগ থাকলে সেই পরিবারের কোনো ব্যক্তির রোগটি হওয়ার সম্ভাবনা অন্যান্যদের তুলনায় ৫ গুণ বেশি।
🔸️মস্তিষ্কের অস্বাভাবিকতা: সাধারনত স্বাভাবিক মানুষের তুলনায়, বিপিডি আক্রান্ত ব্যক্তির মস্তিষ্কের গঠন কিছুটা জটিল হয়। আক্রান্ত ব্যক্তির মস্তিষ্কের আবেগ নিয়ন্ত্রণকারী অংশের সংযোগ দুর্বল থাকে।
🔸️পারিপার্শ্বিক কারণ: শৈশবে শারীরিক, মানসিক, যৌন নির্যাতনের শিকার ব্যক্তিদের বিপিডি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। PTSD আছে এমন ব্যক্তি অনেকসময় বিপিডি তে আক্রান্ত হয়।


🔵চিকিৎসা:
অন্যান্য মানসিক রোগ অপেক্ষা বিপিডি আক্রান্তদের সুস্থ্য হওয়ার হার বেশি। এক্ষেত্রে বিপিডি আক্রান্ত ব্যক্তির নিজস্ব কিছু কাজ এটি নিয়ণ্ত্রণে ভূমিকা রাখে । যেমন-
🔸️নিজের মানসিক ঝড়কে নিয়ণ্ত্রণ।
🔸️আবেগ নিয়ণ্ত্রণ।
🔸️আন্তঃব্যক্তিক দক্ষতা উন্নয়ন।
তবে এ রোগ থেকে সম্পূর্ণ সুস্থ্য হতে মানসিক চিকিৎসা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এক্ষেত্রে Dialectical Behavioral Therapy /Cognitive Behavioral Therapy সবথেকে বেশি কার্যকরী। এছাড়া প্রিয়জনদের সহযোগীতা, সমর্থনে বিপিডি আক্রান্তরা সুস্থ্য হয়ে ওঠে।


#mindplus

No comments

Theme images by rami_ba. Powered by Blogger.