নেক্রোফোবিয়া কি?
নেক্রোফোবিয়া হলো মৃত্যু বা মৃতদেহের চরম বা অযৌক্তিক ভয়।
অর্থাৎ নেক্রোফোবিয়া হলো এক ধরনের নিদিষ্ট ফোবিয়া যা মৃত জিনিস এবং মৃত্যুর সাথে জড়িত জিনিসগুলির প্রতি ভয়। এই ধরনের ফোবিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তি মৃতদেহ এবং কফিন, সমাধিস্থল এবং কবরস্থানগুলো থেকে ভয় পান।
নেক্রোফোবিয়ার লক্ষণঃ
নেক্রোফোবিয়ার লক্ষনগুলো অনান্য ধরনের নিদিষ্ট ফোবিয়ার লক্ষনগুলোর মতোই। তবে কিছু সাধারণ লক্ষণ পরিলক্ষিত হয়-
১. মাথা ঘোরা
২. নিঃশ্বাসে দুর্বলতা
৩. দ্রুত হৃদস্পন্দন
৪. দ্রুত শ্বাস-প্রশ্বাস
৫. শুষ্ক মুখ
৬. বমি বমি ভাব
৭. অস্বস্তি
৮. ভয় একটা বোধ
৯. ঘাম
১০. কম্পিত
১১. অবাস্তবতার অনুভূতি
১২. মৃত্যু বা মৃত জিনিস নিয়ে ব্যস্ততা
১৩. মৃত্যুর ভয়
নেক্রোফোবিয়ার কারণঃ
নেক্রোফোবিয়ার কারনগুলো স্বতন্ত্রভাবে ব্যক্তির উপর নির্ভর করে এবং ব্যক্তি থেকে পৃথক হয়ে যায়। কিন্তু নেক্রোফোবিয়ার মতো নিদিষ্ট ফোবিয়ার সঠিক কারনগুলো সম্পর্কে গবেষকরা পুরোপুরি নিশ্চিত নন। নেক্রোফোবিয়ার কিছু কারণ হলো-
১. অতীতের কোনো মর্মান্তিক ঘটনা থেকে নেক্রোফোবিয়া হতে পারে।
২. নেক্রোফোবিয়া বংশগত কারনেও হতে পারে।কিছু জিন কিছু ব্যক্তিকে এই জাতীয় উদ্বেগজনিত রোগের ঝুঁকিতে পরিনত করে।
৩. প্রিয়জনের মৃত্যুর মতো আঘাতজনিত ঘটনার মুখোমুখি হওয়া,মৃত জিনিস এবং মৃত্যুর আসংকা বা ভীতিতে নেক্রোফোবিয়া হতে পারে।
**আমেরিকার উদ্বেগজনিত ব্যাধি অ্যাসোসিয়েশন পরামর্শ দেয় যে,নিদিষ্ট ফোবিয়া জিনগত,জৈবিক,মনস্তাত্ত্বিক এবং পরিবেশেগত কারনগুলির সংমিশ্রণের ফলাফল।
নেক্রোফোবিয়া যাদের হয়ঃ
পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের নেক্রোফোবিয়া বেশি হয়ে থাকে। মহিলাদের মধ্যে ৬৬% মহিলা নেক্রোফোবিয়ায় আক্রান্ত হয়। পুরুষদের ক্ষেত্রে তা ৪৪%। যাদের বয়স ১৮ এর কম তাদের নেক্রোফোবিয়া হওয়ার ঝুঁকি বেশি। বিভিন্ন বয়সে নেক্রোফোবিয়া হওয়ার ঝুঁকি-
<১৮=৪৫%
১৮-৩৪=৪৪%
৩৫-৪৯=৬%
৫০-৬৪=৩%
>৬৫=২%
চিকিৎসাঃ
বিশেষ করে নেক্রোফোবিয়ার জন্য ডিজাইন করা কোনো চিকিৎসা নেই। তবে নেক্রোফোবিয়া নিয়ন্ত্রণ করা যায়। মাইন্ডফুলনেস কৌশলগুলো,শারীরিক ক্রিয়াকলাপ এবং অনুশীলন উদ্বেগ এবং মানসিক চাপ মোকাবেলায় সহায়তা করতে পারে। নেক্রোফোবিয়া নিয়ন্ত্রণের জন্য Psychiatrist, Clinical psychologist,Psychologist দের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে এবং চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হবে।
No comments